যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো বড় ভুল করে, তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে যেতে বাধ্য হবে দেশটি—এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সিনিয়র উপদেষ্টা আলী লারিজানি।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে হুঁশিয়ারি
তেহরানভিত্তিক গণমাধ্যম পার্সটুডে জানিয়েছে, সোমবার রাতে ইরানের জাতীয় টিভির একটি নিউজ টকশোতে আলী লারিজানিযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা ও পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে কথা বলেন।
He said,
🗨️ “ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ পরিণতিহীন হবে। ইসলামী বিপ্লবের নেতার ফতোয়া অনুসারে, পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত নয়। তবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইল পারমাণবিক অস্ত্রের অজুহাতে ইরানে হামলা চালায়, তাহলে ইরান জনগণের চাপে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে অগ্রসর হতে বাধ্য হবে।”
ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের এই সদস্য আরও বলেন,
🗨️ “বোমা হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা যাবে না। এটি এমনভাবে পরিকল্পিত যে, হামলার পরও আমাদের অগ্রগতি ব্যাহত হবে না।”
ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘বাগ্মীতা’ বললেন লারিজানি
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানকে নিয়ে কিছু উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। তবে লারিজানি তা গুরুত্ব দিতে নারাজ।
He said,
🗨️ “বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের আচরণ একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ মনে করেন, ট্রাম্পের কথাবার্তা নিছক বাগ্মীতা। রাশিয়া এবং কানাডার জন্যও তিনি একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু ঘটেনি।”
যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করেছে
আলী লারিজানি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতার (JCPOA) অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে, অথচ ইরান তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
He said,
🗨️ “আমাদের সর্বোচ্চ নেতা কখনোই পরমাণু সমঝোতাকে ভালো চুক্তি হিসেবে দেখেননি। কারণ, আমেরিকায় একজন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসে সহজেই এই চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করতে পারেন।”
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের ভূমিকা
লারিজানি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইল কিছুই করতে পারবে না।
🗨️ “ইসরাইল কেবল যুদ্ধবিরতি ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ইসরাইলের প্রতিশ্রুতির ওপর কেউ আস্থা রাখতে পারে না।”
He also said,
🗨️ “ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো সংগ্রাম।”
ইয়েমেনে মার্কিন হামলার নিন্দা
ইয়েমেনে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে লারিজানি বলেন,
🗨️ “যুক্তরাষ্ট্র যদি একটুও বিচক্ষণ হতো, তাহলে তারা ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধে জড়াতো না।”
লারিজানির বক্তব্য স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইল যদি ইরানে সামরিক অভিযান চালায়, তাহলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত