১৩ বছরের প্রেমের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীব। বিয়ের মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে একে একে জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলো এসে ধরা দেয় এই দম্পতির হাতে। রাজীবের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’ প্রথমবারের মতো কানের স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং অর্জন করে স্পেশাল মেনশন। এটি দেশের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি নির্মাতার পেশাগত জীবনের এক অনন্য অর্জন। এই সাফল্যকে ‘বিয়ের পর সৌভাগ্য’ হিসেবেই দেখছেন রাজীব। অন্যদিকে, মেহজাবীনও থেমে নেই। ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের ২৬তম আসরে সমালোচক ও তারকা জরিপ—দুই বিভাগেই সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা পান তিনি। পুরস্কার নেওয়ার পর আবেগঘন মুহূর্তে বলেছিলেন, “বিয়ের পর আমার ভাগ্য বুঝি খুলে গেছে।”
চলমান কাজের ব্যস্ততায় বিয়ের পরপরই হানিমুনে যাওয়া হয়নি এই তারকা দম্পতির। তবে ভালোবাসার শহর প্যারিসকে হানিমুনের গন্তব্য হিসেবে বেছে নেন তাঁরা। কানের ফিল্ম ফেস্টিভালের সুবাদে রাজীব আগে থেকেই ছিলেন সেখানে, পরে মেহজাবীন যোগ দেন তাঁর পাশে। একসঙ্গে সময় কাটানো, শপিংমলে দুষ্টুমিতে মেতে ওঠা—সব মিলিয়ে তাঁদের রোমান্টিক মুহূর্তগুলো ভক্তদের মন জয় করেছে। এবার সেই ভালোবাসা ভরা সফরের সবচেয়ে বিশেষ মুহূর্ত, আইফেল টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি ও অনুভূতি শেয়ার করেছেন মেহজাবীন। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, “এখনো স্বপ্ন মনে হয়, কিন্তু এটা আমাদের বাস্তব। ভালোবাসার শহরে, যেখানে প্রতিটা রাস্তা ভালোবাসার কথা বলে, সেখানে আমাদের গল্পটা এভাবে লেখার জন্য আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তোমার পাশে নিঃশব্দ সকালে জেগে ওঠা, প্যারিসের ছাদের ওপর ছড়িয়ে পড়া হাসির শব্দ, আর সময়ের সঙ্গে আরও গভীর হয়ে ওঠা আমাদের বন্ধন—সবকিছুই এক অপূর্ব আশীর্বাদ।”

ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য এই গল্প যেন রূপকথার এক নতুন অধ্যায়—যেখানে প্রেম, সাফল্য আর ভালোবাসা মিলেমিশে এক হয়েছে প্যারিসের আকাশের নিচে।