বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল থেকে দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে একযোগে শুরু হচ্ছে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’। পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
উদ্বোধনী দিনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা অনম বিশ্বাস, আর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী.
গত শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “চলচ্চিত্র শিল্পের প্রসার, বিকাশ এবং মানসম্মত দেশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রক্ষেপণ ও অনুধাবন করাই এই উৎসবের মূল লক্ষ্য। আমরা আশা করি, এবারের আয়োজনটি আরও সফল ও সার্থক হবে।”
উৎসবে সারাদেশ থেকে জমা পড়া ৩০০টি চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে ৮৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৬০টি ফিকশন and ২৯টি প্রামাণ্যচিত্র। এসব চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে:
- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (১,৫০,০০০ টাকা)
- শ্রেষ্ঠ নির্মাতা (১,০০,০০০ টাকা)
- বিশেষ জুরি পুরস্কার (৫০,০০০ টাকা)
- বিশেষ বিভাগীয় পুরস্কার (প্রতিটিতে ৩০,০০০ টাকা):
- শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক
- শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা
- শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা
- শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনা
উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি নির্বাচিত চলচ্চিত্রের নির্মাতারা প্রদর্শনী সার্টিফিকেট এবং উৎসব স্মারক পাবেন।
এছাড়াও, প্রদর্শিত চলচ্চিত্রের নির্মাতাদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ৩০ জনকে নিয়ে ৩০ মে জাতীয় নাট্যশালার আর্কাইভ রুমে একটি দিনব্যাপী মাস্টার ক্লাস আয়োজন করা হবে। মাস্টার ক্লাসের বিষয়বস্তু থাকবে সাউন্ড অ্যান্ড সিনেমাটোগ্রাফি, যেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন নাহিদ মাসুদ and রাশেদ জামান.
উৎসবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির, এবং সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী পরিচালক (চলচ্চিত্র) মো. ইকরামুল ইসলাম.
উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত, এবং নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।