ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেগুলোকে তার বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই দাবিগুলোর সত্যতা নেই।
রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ-এর অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর মূল উৎস পরীমণি নন। এগুলো আসলে ভিন্ন এক নারীর ছবি, যার মুখে পরীমণির চেহারা কৃত্রিমভাবে বসানো হয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে এসব ছবি তৈরি করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলোর রিভার্স ইমেজ সার্চ করার মাধ্যমে ‘আকাশি জলি’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া যায়, যেখানে ২৪ মার্চ তারিখে কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছে। এই ছবিগুলোর সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর বেশ মিল আছে—বিশেষ করে পোশাক, ব্যাকগ্রাউন্ড ও ভঙ্গিমায়। তবে মুখমণ্ডল ছাড়া বাকি সব কিছুতে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
এই অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সেটি ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলার লোকেশন থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং প্রোফাইলে নিজেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিউমর স্ক্যানার আরও জানায়, তারা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে পরীক্ষা চালিয়ে দেখতে পেয়েছে, ‘আকাশি জলি’র ছবিতে যদি পরীমণির মুখমণ্ডল বসানো হয়, তবে ফলাফল অনেকটাই ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর মতোই হয়। অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিতর্কিত ছবিগুলো মূলত ডিজিটালি সম্পাদিত এবং প্রতারণামূলকভাবে তৈরি।
এই ঘটনা স্পষ্ট করে দেয়, ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করে জনপরিচিত ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টা চলছে, যা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি গুরুতর উদাহরণ।