পাকিস্তানি তারকা ফাওয়াদ খান দীর্ঘ বিরতির পর আবার বলিউডে ফিরছেন, আর তাঁর কামব্যাক সিনেমা ‘আবির গুলাল’-এ তিনি জুটি বাঁধবেন বলিউড অভিনেত্রী বাণী কাপুরের সঙ্গে। এই ঘোষণা ঘিরে যেমন দর্শকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ, তেমনি শুরু হয়েছে বিতর্কও। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন—ভারতে কি পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ করা উচিত?
এই প্রেক্ষাপটে আলোচনায় উঠে আসছে অভিনেত্রী দিয়া মির্জার একটি পুরনো সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি বলেন, “শিল্পকে কখনই ঘৃণার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।” নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিয়া আরও বলেন, “শিল্প ও খেলাধুলা—এই দুই মাধ্যম সবসময়ই শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তান যৌথ প্রজেক্ট আরও বাড়বে।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই মন্তব্যটি তিনি করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার আগেই। হামলার ঘটনার পর অভিনেতা ফাওয়াদ খান ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে শোক প্রকাশ করে লেখেন, “পেহেলগামে হামলার খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।”
ফাওয়াদ খান বলিউডে ইতিমধ্যেই ‘খুবসুরাত’ (২০১৪), ‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’ (২০১৬), এবং ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ (২০১৬)–এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে ভারতীয় দর্শকদের মন জয় করেছেন। তাঁর অভিনয় প্রতিভা ও পর্দার উপস্থিতি নিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মাঝে এখনো রয়েছে উচ্ছ্বাস।
এবার দেখা যাক, বিতর্কের আবহ পেরিয়ে ফাওয়াদ খানের এই প্রত্যাবর্তন বলিউডে নতুন দিগন্তের সূচনা করে কি না।