সম্প্রতি ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সিনেমার ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে নির্মিতব্য এ ছবির পোস্টার ও সময় নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
গত ৯ মে পরিচালক উত্তম মহেশ্বরী তার সামাজিক মাধ্যমে সিনেমাটির ঘোষণা দেন। প্রযোজনায় রয়েছে নিকি ভিকি ভাঘনানি ফিল্মস এবং দ্য কনটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার। পোস্টারে এক নারী সেনা সদস্যকে যুদ্ধের পোশাকে, হাতে অস্ত্র ও সিঁথিতে সিঁদুর পরে দেখা যায়। ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে বিস্ফোরণ, কাঁটাতার ও ট্যাংকের দৃশ্য।
ছবিটি এমন এক সময় ঘোষণা আসে, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার জেরে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামক সামরিক অভিযান চালায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এরপরই সেই অভিযানের নামেই সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা ঘিরে প্রশ্ন ওঠে।
সমালোচকরা বলছেন, এই নাম ব্যবহার করে ছবির প্রচারণা চালানো অনৈতিক এবং সৈনিকদের আত্মত্যাগকে ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত করার চেষ্টা। একজন মন্তব্য করেন, “সেনাদের সম্মানকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হচ্ছে।” আরেকজন লিখেছেন, “এটা দেশের সম্মানের সঙ্গে খেলা।”
বিতর্কের মুখে পরিচালক উত্তম মহেশ্বরী ক্ষমা চেয়ে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “আমাদের ঘোষণায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ছবিটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগ তুলে ধরার জন্যই নির্মাণ করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু সিনেমা নয়, বরং একটি আবেগ, একটি জাতীয় চেতনার প্রতিফলন।”
এদিকে জানা গেছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের পাশাপাশি ‘মিশন সিন্দুর’, ‘সিন্দুর: দ্য রিভেঞ্জ’ সহ ৩০টিরও বেশি মিলিত শিরোনামে সিনেমা নির্মাণের জন্য নাম নিবন্ধনের আবেদন জমা পড়েছে ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্র প্রযোজক সংগঠনে।