কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। বিশেষ করে ফার্মের মুরগির ডিম, পেঁয়াজ এবং মুরগির বাজারে গত এক সপ্তাহেই উল্লেখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক সপ্তাহ আগেও প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ ঘনিয়ে আসায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে, সেই সঙ্গে সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে, ফলে দামও ঊর্ধ্বমুখী।
সবচেয়ে বেশি দামের পরিবর্তন এসেছে পেঁয়াজের ক্ষেত্রে। মাস খানেক আগেও যেটি কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল, বর্তমানে তা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির ঘাটতি এবং অভ্যন্তরীণ মজুদের চাপ এর পেছনে কারণ হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
মুরগির বাজারেও বেড়েছে দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রতি দাম ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজিতে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ তুলনামূলক কম, ফলে দামের এই বাড়তি চাপ।
তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তির খবর রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, “ঈদকে সামনে রেখে ডিম ও মুরগির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি মৌসুমী চাপ এবং আমদানি নির্ভর পণ্যে সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।”
সবমিলিয়ে ঈদ সামনে রেখে কিছু পণ্যের বাজার অস্থির হলেও, সবজির ক্ষেত্রে কিছুটা ভারসাম্য রয়েছে। তবে নিত্যপণ্যের এই দামের ঊর্ধ্বগতি ভোক্তাদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।