সৈয়দ বশির আহম্মেদ, পিরোজপুর প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপের প্রভাবে পিরোজপুরসহ দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে বলেশ্বর ও কচা নদীর টগড়া ফেরিঘাটসহ নদীতীরবর্তী এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, জোয়ার ও অতিবৃষ্টির কারণে সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে নদীভাঙনের ঝুঁকিও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। ফলে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পানি বাড়ার পাশাপাশি হালকা দমকা বাতাস ও উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি ভাটির দিকে ধেয়ে আসায় পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানি, জিয়ানগরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বোরো মৌসুমে আবাদকৃত উফশী জাতের ব্রি ধান, বিনা ধান, হাইব্রিড ও ব্যাবিলন ধানের বীজতলা পানিতে এক সপ্তাহের বেশি নিমজ্জিত থাকলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কৃষকদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠেও পানি উঠেছে। নদীতীরবর্তী চর এলাকার বাসিন্দারা জানান, অনেক জায়গায় বাঁধ না থাকায় নদীর পানি সরাসরি গ্রামে ঢুকে পড়ছে। এতে গবাদিপশু, মাছের ঘের ও বসতভিটা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।