সত্যজিৎ দাস, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দত্তগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক প্রদীপ বৈদ্য-এর মরদেহ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে।
সোমবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর স্থলবন্দর চেকপোস্টে বিজিবি ও বিএসএফ-এর উপস্থিতিতে ভারতের কৈলাশহর থানার পুলিশ মরদেহটি বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নিহতের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
হস্তান্তর কার্যক্রমে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৪৬ বিজিবির আমতলী বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. আবুল কালাম এবং কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য.
নিহত প্রদীপ বৈদ্য কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের শৈলেন্দ্র বৈদ্যের ছেলে। গত ৩১ মে শনিবার রাত ৮টার দিকে সীমান্তের ১৮৫২ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার দেবীপুর এলাকায় বিএসএফের গুলিতে তিনি নিহত হন। পরে বিএসএফ মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালে রাখে।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য জানান, “মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের পর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তা নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
এদিকে ৪৬ বিজিবি শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া বলেন, “ঘটনার পরপরই বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শিগগিরই ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে ফ্ল্যাগ মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।”
বিশ্লেষণ:
সীমান্তে এ ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং সীমান্তবর্তী এলাকার জননিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যথাযথ তদন্ত, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং উভয় দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা প্রয়োজন।