নূর আলম, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়া এবং তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’-এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতির মারণফাঁদে জড়ানোর প্রতিবাদে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির আয়োজনে এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং “সাম্রাজ্যবাদের দালালি চলবে না”, “করিডোর নয়, গণতন্ত্র চাই”, “বিদেশি কর্তৃত্ব নয়, জনগণের অধিকার চাই”—এই ধরনের স্লোগানে শহর প্রকম্পিত হয়।
‘জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে’—বক্তারা
বিক্ষোভ মিছিল শেষে কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘরের হলরুমে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সিপিবি নেতা কমরেড শামছুল আলম খান। সঞ্চালনা করেন সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ Said,
“চট্টগ্রাম বন্দর শুধু একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়, এটি কৌশলগতভাবে দেশের নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি। এই বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দেওয়া।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ ও সিপিবি কেন্দ্রীয় নেতা এম এম আকাশ। তিনি বলেন,
“মানবিক করিডোর কথাটা আসলে এক ছদ্মবেশ। এর পেছনে লুকিয়ে আছে বড় শক্তিগুলোর যুদ্ধকৌশল। আমাদের ভূখণ্ডকে তাদের লড়াইয়ের রসদ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে।”
নেত্রকোণা জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম Said,
“জনগণের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির অন্যান্য স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বক্তারা জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বার্থে, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং বিদেশি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
উৎসবের মধ্যেও প্রতিবাদের সুর
লাল পতাকায় মুখরিত সমাবেশে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমগ্র কর্মসূচিতে ছিল শক্তিশালী প্রতিবাদ, রাজনৈতিক সচেতনতা এবং গণজাগরণের আবহ।