অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবার পেল পাঁচ লক্ষ টাকার অনুদান

জামিউল ইসলাম তুরান, শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সংগঠন “শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রবাসী এসোসিয়েশন, ইউকে”। সোমবার (১৬ জুন) বিকাল ৩টায় ইউনিয়নের সলফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রতিটি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লক্ষ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য:

অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। তিনি বলেন,
“প্রবাসীরা আমাদের আত্মিক শক্তি। দেশে দুর্যোগ এলেই তারা অকুণ্ঠ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তারা আবারও মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।”
He also said,
“এসোসিয়েশনের সদস্যদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই আলহাজ্ব বশির উদ্দিন, কাচা মিয়া, আবু লেইচ, দেলোয়ার হোসেন, ড. রোয়াব উদ্দিন, রেজাউল কবির জায়গীরদার রাজা, ইকবাল হোসেনসহ সেইসব মানুষকে, যারা এই অনুদান বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:

• দরগাপাশা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান রওশন খান সাগর
• পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন
• সমাজকর্মী সিতু মিয়া

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমাজকর্মী ইরান উদ্দিন।

উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন:

প্রবীণ মুরব্বি শামসু মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, আজাদ মিয়া, আবদুল মোতালিব, খরসু মিয়া, শায়েখ মিয়া, তফিক মিয়া, শাহরিন আহমদ ও মাহবুব আলম জনি।

ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিক্রিয়া:

অনুদান পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে শফিক মিয়া ও আবদুল জাহির বলেন,
“অগ্নিকাণ্ডে আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজকের এই অনুদান নতুন করে বাঁচার সাহস জোগাবে। এই সহায়তার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।”

প্রেক্ষাপট:

গত ১২ এপ্রিল (শনিবার দিবাগত রাতে) পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সলফ গ্রামে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে দশটি ঘরে। পুড়ে যায় ঘরের আসবাব, খাবার, জামাকাপড়সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে পড়ে পরিবারগুলো।

এই প্রবাসী সংগঠনের মানবিক উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন একটু হলেও স্বস্তি পাচ্ছে। স্থানীয়রা এ ধরনের সহায়তা আরও নিয়মিত ও সংগঠিতভাবে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।