সত্যজিৎ দাস, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান অতিক্রম করার সময় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় ট্রেনটি লাউয়াছড়া রেলপথে পৌঁছালে, বনাঞ্চলের ভেতরে রেললাইনের ওপর উপড়ে পড়া একটি বিশাল পুরোনো গাছের সঙ্গে ট্রেনের ইঞ্জিনের সংঘর্ষ ঘটে।
ধাক্কায় ট্রেনটির লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের সামনের অংশ বাঁকা হয়ে গেলেও যাত্রীদের কেউ হতাহত হননি। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন থেমে যায় এবং বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, “গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যাত্রীদের কেউ আহত হননি এবং ট্রেনটি পরবর্তীতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা অব্যাহত রাখে।”
স্থানীয়রা জানান, আগের রাতের টানা ভারি বৃষ্টির কারণে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে থাকা একটি পুরোনো গাছ মাটি আলগা হয়ে উপড়ে পড়ে রেললাইনের ওপর। ঠিক সেই মুহূর্তেই রেলপথে প্রবেশ করে কালনী এক্সপ্রেস.
ঘটনার পরপরই বন বিভাগ ও রেলওয়ে কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ ও ডালপালা কেটে রেলপথ পরিষ্কার করে দেন, যার ফলে সিলেট-ঢাকা রেল চলাচল দ্রুত পুনরায় স্বাভাবিক হয়।
লাউয়াছড়া রেঞ্জের বন কর্মকর্তা কাজী নাজমুল বলেন, “গাছটি বহু পুরোনো ছিল এবং ভারী বৃষ্টির ফলে মাটি আলগা হয়ে পড়ে যায়। খবর পেয়েই আমরা দ্রুত রেলপথ পরিষ্কারে কাজ শুরু করি।”
এই ঘটনা ফের একবার মনে করিয়ে দিল যে প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে চলাচলকারী রেলপথে আধুনিক সতর্কতা ব্যবস্থা, রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি এবং নিয়মিত গাছপালা রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ভাগ্যক্রমে প্রাণহানি না ঘটলেও ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।