শাহাদাৎ বাবু, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে নোয়াখালী জেলায় গত দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে জেলা শহর মাইজদীসহ আশপাশের এলাকা ও বেশ কয়েকটি উপজেলার প্রধান সড়ক ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে চরমে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নদীবন্দরে ১ নম্বর এবং সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জলমগ্ন শহর ও দুর্ভোগ
জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে মাইজদীর প্রেসক্লাব সড়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সড়ক, টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, হাউজিং এলাকা, মহিলা কলেজ সড়ক, হরিনারায়নপুর সড়ক ও নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বিভিন্ন অলিগলি তো বটেই, কিছু বাসাবাড়িও পানির নিচে চলে গেছে।
নোয়াখালী জেলা শহর ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া, মওদুদ স্কুল রোড, কলেজ গেট, হাসপাতাল গেট এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে আছে। এছাড়া বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর ও সেনবাগ উপজেলার অনেক জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নালা-জলাশয় ভরাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর
স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের পর্যাপ্ত ড্রেনেজ না থাকায় এবং বিদ্যমান নালা-জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ ধরনের জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তারা জানান, হালকা বৃষ্টিতেও নোয়াখালী পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিত্যদিনের সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগহীনতাকেই দায়ী করছেন অনেকে।
Administration response
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, “আমি নিজে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। প্রধান সড়কগুলোয় তেমন জলাবদ্ধতা নেই। তবে নিচু এলাকার কিছু রাস্তায় পানি জমেছে, বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।”
এদিকে দিনের পর দিন বৃষ্টিতে খেটে খাওয়া মানুষ কাজকর্ম করতে না পেরে ঘরে বসে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। শহরের রাস্তাঘাটে জনসাধারণের চলাচল ছিল অনেকটাই কম। ভিজে রাস্তা পেরিয়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের যেতে হয়েছে নিজ নিজ গন্তব্যে।