এস কে রাসেল দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা এলাকায় যমুনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে এক নারী ও শিশু নিখোঁজ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি করেও তাদের সন্ধান পায়নি।
বুধবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে বাচামারা ইউনিয়নের ইউসুছ আলী শেখের বাড়ির পেছনে যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায় তারা।
নিখোঁজরা হলেন—বাচামারা পূর্ব পাড়া গ্রামের মো. আব্দুল বয়াতীর মেয়ে বর্ষা খাতুন (২০) এবং একই গ্রামের মো. রাহেজ বয়াতীর মেয়ে লামিয়া খাতুন (১০)। বর্ষা খাতুন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ২টার দিকে নারী ও শিশু মিলে পাঁচজন যমুনা নদীতে গোসল করতে নামেন। একপর্যায়ে হঠাৎ পানির স্রোতে তারা তলিয়ে যেতে থাকেন। সে সময় আশপাশের লোকজন তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও বর্ষা ও লামিয়া পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাহিদ বাবু বলেন, ‘দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়েও নিখোঁজ দুজনের খোঁজ না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করা হয়। পরে শিবালয়ের আরিচা স্থল কাম নদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন থেকে ডুবুরি দল এসে দুই ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে অন্ধকার ও নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে তারাও উদ্ধারে ব্যর্থ হন।
এ বিষয়ে আরিচা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক মো. নাদির হোসেন জানান, খবর পেয়ে চারজন ডুবুরি সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা কাজ করেন। পরে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় পরে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পুনরায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এম আল-মামুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবুরি দলকে সহায়তা করেছে। এই ঘটনায় যমুনার তীরে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও শোক বিরাজ করছে।