দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ২৩ বছর পর অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনের পর দিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ছবিতে দেখা যায়, দুমকি উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ও লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. খলিল শরীফ বিএনপির কাউন্সিলে উপস্থিত হয়ে ধানের শীষ প্রতীকের ব্যানারের সামনে ছবি তুলেছেন। অথচ বিএনপির বহু ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী ডেলিগেট কার্ড না পেলেও একাধিকবার আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একজন নেতা কীভাবে কাউন্সিলে ডেলিগেট হিসেবে উপস্থিত হন—তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে তৃণমূলে।
২০২২ সালে দুমকি উপজেলা কৃষকলীগ আয়োজিত “বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের” বিরুদ্ধে মানববন্ধনে খলিল শরীফকে প্রথম সারিতে দেখা যায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের পাশে দাঁড়িয়ে তার আরও একটি ছবি এখন ভাইরাল।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “যিনি এই লোককে অতিথি কার্ড দিয়েছেন, তাকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।”
প্রত্যাহার ও আত্মপক্ষ সমর্থন
বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় খলিল শরীফ বলেন, “আমি আগে ঢাকায় থাকতাম, শ্রমিকলীগের পদে আছি জানতাম না। মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বললে তিনি জানান, চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার চাপে উপস্থিত হতে হয়েছিল। এখন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা ডেলিগেট কার্ড দিয়েছেন।”
তবে এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান মুন্সি স্পষ্ট করে জানান, “আমরা তাকে কোনো কার্ড দিইনি। তিনি কীভাবে কার্ড পেলেন, তাও জানা নেই।”
এই ঘটনার মাধ্যমে জেলার তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দানা বাঁধছে। দলের অভ্যন্তরে কার্ড বণ্টন প্রক্রিয়া ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।