বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগনের সম্মানে শুক্রবার হোটেল আর রহমান কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা আমীর মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টীম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও সাবেক জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা শাখার সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহিম সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীগণসহ উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও মো. ফয়সাল কবির, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মাওলানা সাইদুর রহমান, অধ্যাপক ফেরদৌস আলম ফিরোজসহ উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. ফেরদৌস সরকার রুম্মান, জেলা শিবির সেক্রেটারি শাওন হোসাইনসহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা আব্দুল হাকিম বলেন, গাজা সবসময় অপরাজেয়। কারণ, গাজাবাসীরা কুরআনের সঙ্গী ও কুরআনের যোদ্ধা। তারা ভয়কে জয় করেই নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করছে। তাদেরকে জন্মভূমি ত্যাগ করার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদান করা হলেও আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় সেখানেই রয়েছে গেছেন। মূলত, বিশ্বের সকল মা-ই জন্ম দেন সন্তান। কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা। তাই গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জায়নবাদীরা একদিন পরাভূত হবে। তাই এ নির্মমতা দেখে কারো পক্ষে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং যার যতটুকু সামর্থ আছে তা নিয়েই এসব মজলুম ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পবিত্র এ মাহে রমযান মাসে আল্লাহ ভয় এবং তালিম নিয়ে বিপন্ন গাজাবাসীর সাহায্যের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, মানবরচিত মতবাদে দেশ পরিচালিত হওয়ায় সমাজে এতো অস্থিরতা ও অশান্তি। মূলত, সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআনকে বিজয়ী করা গেলে কোন ধর্মের মানুষেরই কোন সমস্যা থাকবে না। দেশের সকল নাগরিক সমাজ অধিকার ভোগ করবে। কেউ কারো হক্ব নষ্ট করার দুঃসাহস করবে না। থাকবে না মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য। সমাজে কোন দুর্নীতি, দুঃশাসন, অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানী থাকবে না। রাষ্ট্রই সকল নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। জামায়াত সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি দেশে কুরআন বিজয়ী ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, গাজায় ইসরাইলী হামলা ও বর্বরতা অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই কোন বিবেকবান নীরবে বসে থাকার সুযোগ নেই। তিনি জায়নবাদী হত্যা ও হত্যাযজ্ঞ মোকাবেলায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।