মো. হাবিবুর রহমান, নওগাঁ প্রতিনিধি :
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নওগাঁ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগে নেমেছেন। ঈদের সময় কর্মজীবী মানুষ নিজ গ্রামে অবস্থান করায়, এই সময়টাকে ভোটারদের কাছে পৌঁছার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখেছেন নেতারা।
নওগাঁর ছয়টি আসনেই এখনো বিএনপি দলীয়ভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও প্রতিটি আসনেই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। এদিকে জামায়াতে ইসলামী আগেভাগেই তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং তারাও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নওগাঁ–১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার)
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি ছালেক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান ও মোজাম্মেল হক চৌধুরী এলাকায় গরিব-দুঃস্থদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই বিতরণ করেন এবং ঈদের সময় পুনর্মিলনী ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জামায়াতের প্রার্থী মাহবুবুল হক মসজিদে দোয়া কামনা এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
নওগাঁ–২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট)
এখানে বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী—সামসুজ্জোহা খান, খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী ও মাহবুবুর রহমান চপল—ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং নির্বাচনী গণসংযোগ চালান। জামায়াতের প্রার্থী এনামুল হকও ছিলেন সক্রিয়।
নওগাঁ–৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী)
বিএনপির ফজলে হুদা বাবুল, রবিউল আলম ও পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী এলাকাবাসীর সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি গরিবদের মাঝে উপহার বিতরণ করেছেন। জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান গণসংযোগে অংশ নেন।
নওগাঁ–৪ (মান্দা)
মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুল মতিন, মোকলেছুর রহমান, ইকরামুল বারী ও শফিকুল ইসলাম ঈদের ছুটিতে ঘরোয়া মতবিনিময় ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। জামায়াতের প্রার্থী আব্দুর রাকিবও ছিলেন তৎপর।
নওগাঁ–৫ (সদর উপজেলা)
এখানে নজমুল হক, জাহিদুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক, বায়েজিদ হোসেন ও মামুনুর রহমানসহ একাধিক বিএনপি নেতা তৎপর রয়েছেন। তাঁরা ঈদে ভোটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশ নেন। জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আ স ম সায়েম।
নওগাঁ–৬ (রাণীনগর ও আত্রাই)
বিএনপির আনোয়ার হোসেন, রোজাউল ইসলাম, ইছাহাক আলী, আমিনুল ইসলাম ও সাবেক মন্ত্রী আলমগীর কবির সক্রিয়ভাবে গণসংযোগ চালিয়েছেন। জামায়াতের প্রার্থী খবিরুল ইসলামও স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের সময় সরব ছিলেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ঈদের ছুটিতে গরিবদের পাশে দাঁড়ানো, বিভিন্ন খেলাধুলা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
তবে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ছিল তুলনামূলকভাবে কম।