Barisal Correspondent:
বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি পদদলিত ও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় অন্তত ৬-৭ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৫ জুলাই ২০২৫) বিকেল ৫টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর বাজারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন কবাই ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন। তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছার আগেই হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মন্টু গাজী, রিগান, যুবদল নেতা হাসান ও ছাত্রদল নেতা বাপ্পির নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি হঠাৎ হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা দলীয় পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে, ছবি ভাঙচুর করে এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৬২), প্রবীণ কর্মী জয়দর হাওলাদার (৭০) এবং সুমন আকন (৫০)।
আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অ্যাডভোকেট রাজনের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল পেয়ারপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে থানায় গিয়ে ওসি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন বলেন, “আমার আগমনের আগেই জেলা বিএনপির কথিত আহ্বায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। শুধু মারধর নয়, আমাদের নেতা শহীদ জিয়া, ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিও তারা পদদলিত করে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন টানটান, যে কোনো সময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।