মোঃ আসাদুজ্জামান মিয়া,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
নয় বছর পর নতুন নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী এ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি ও উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। তবে দলীয় কোন্দল ও উত্তেজনার আশঙ্কায় জেলা বিএনপির নেতারা সম্মেলন শেষে কোন কমিটি ঘোষণা না করেই ফরিদপুরে ফিরে গেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশে ফরিদপুর জেলা বিএনপিকে একমাসের মধ্যে বিভিন্ন বিলুপ্ত কমিটি পুনর্গঠনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন।
সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত আফজাল হোসেন খান।
উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরে দীর্ঘদিনের দুইটি বিভাজন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় সম্মেলনে। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অন্যপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভিপি শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনু, যিনি শামা ওবায়েদ রিংকু গ্রুপের অনুসারী।
সম্মেলন ঘিরে হাততালি, শ্লোগান, শোডাউনসহ এলাকায় ছিলো উৎসবের আমেজ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো। দুই পক্ষই সমর্থকদের জন্য আলাদা করে খাবারের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা না হলেও তিনটি প্রস্তাবিত কমিটির খসড়া জেলা নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
- একটিতে আহ্বায়ক হিসেবে প্রস্তাবিত খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম।
- অন্যটিতে আহ্বায়ক ভিপি শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনু, সদস্য সচিব মজিবর রহমান।
- তৃতীয়টিতে আহ্বায়ক খন্দকার রাফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহবুবুর রশিদ হেলাল।
সম্মেলনের সভাপতি আফজাল হোসেন খান জানান, “জমা দেওয়া নামগুলোর ওপর ভিত্তি করে দুই-এক দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।”
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন হয়েছে। আমরা মাঠে সক্রিয় ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করেই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করবো।”