নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মো.কামাল শেখের অনৈতিক কর্মকাণ্ড,সোনা ও রুপা চোরাচালানে বাধা দেওয়ায় পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শুভ রাসেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।রাসেলের দাবি, চোরাচালানের প্রমাণ হাতে পেয়ে যাওয়ায় ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং প্রতিশোধ নিতেই তার বিরুদ্ধে এই হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন।
শুভ রাসেল জানান,সাতক্ষীরার কলারোয়ার পিছলাপো এলাকার শেখ রেজাউল ইসলামের ছেলে কামাল শেখ আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে গত সরকারের আমল থেকে অবৈধ সোনা ও রুপা চোরাচালানসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত।ঘটনার দিন (২ জুলাই’২০২৫) এক নারীর সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে ধরে।খবর পেয়ে আমিসহ অন্যরা সেখানে যান। কামালের কাছে থাকা একাধিক মোবাইল ফোন চেক করে তার অবৈধ ভাবে ভারতে সোনা পাচারের কথোপকথনের তথ্য পাওয়া যায়।
বিষয়টি পুলিশকে জানানোর চেষ্টা করলে কলারােয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল খান এবং সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুলের অনুরোধে সেটি না করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।কিন্তু তিনি নিজেকে বাঁচাতে উল্টো আমার নামেই মারপিট, হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগে কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।”
তিনি দাবি করেন,তার অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ার কারণে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।এর আগেও কামাল শেখের নামে একাধিক চোরাচালানের মামলা রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ৫ জুলাই মো. কামাল শেখ বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় শুভ রাসেলসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা (নং ৩১/১১) দায়ের করেন। এজাহারে ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩০৭, ৩৮৫ ও ৫০৬ ধারায় মারপিট, হত্যাচেষ্টা ও ৫১ হাজার টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ আনা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।ছাত্রদল নেতাকে এভাবে মামলায় জড়ানোকে অনেকেই হয়রানিমূলক এবং প্রতিশোধের অংশ হিসেবে দেখছেন।
কলারোয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন এবং উভয় পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হবে বলে তারা আশাবাদী।
SM Habibul Hasan