মারুফ সরকার, প্রতিবেদক: সংষ্কার এবং স্বৈরাচারের বিচার প্রক্রিয়ার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী একটি মহল এবং একটি নতুন দল তারা সংষ্কার এবং স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার না করা পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানার কথা বলছে।
এসময় আমিনুল হক বলেন,আমরাও দেশে পরিপূর্ণ ভাবে সংষ্কার চাই এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার চাই। স্বৈরাচারের বিচার প্রক্রিয়া এবং রাষ্ট্র সংষ্কারের সাথে বাংলাদেশে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক থাকতে পারেনা। কারন নির্বাচন হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
আজ শনিবার (০৮ মার্চ) মিরপুর এমডিসি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে পল্লবী রুপনগর থানার শহীদ গুম পরিবার,ওলামা,শিক্ষক সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মানে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন,অন্তবর্তীকালীন সরকারের ৬ মাস হতে চলেছে। এখনো পর্যন্ত সাধারণ জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোন স্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়নি।
আমিনুল হক এসময় অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন,আপনারা দ্রুত একটা জাতীয় নির্বাচন দিন। নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। জনগণের সরকারই পারবে দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে এবং স্বৈরাচারের বিচার ও পরিপূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংষ্কার করতে।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও আমরা জনগণের কাঙ্খিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। স্বাধীনতার মূলমন্ত্র,স্তম্ভ, ঘোষণাপত্র কোন কিছুই আজ পর্যন্ত আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ গত ১৭ বছরের ভয়াবহ স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট মুক্ত বাংলাদেশে আমরা চাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসে আমাদের রাজনীতির একটা শক্ত স্তম্ভ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পরিবেশ তৈরি হউক।
এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে আমরা যখন সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার নতুন স্বপ্ন দেখছি,ঠিক তখনি আমরা বিভিন্ন মহল থেকে কিছু কিছু ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।
জনগণ কোন ষড়যন্ত্রই সফল হতে দিবে না।
সিটি ক্লাবের সভাপতি তারিক আল মামুনের সভাপতিত্বে এবং পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হোসাইন খান ও যুগ্ম আহবায়ক মোকছেদুর রহমান আবির এর যৌথ সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা জামান,যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি,এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তর),আক্তার হোসেন,গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ,তুহিরুল ইসলাম তুহিন,এম কফিল উদ্দিন আহমেদ,আফাজ উদ্দিন,হাজী মোঃ ইউসুফ,শাহ আলম,মাহাবুবুল আলম মন্টু,মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার,আলী আকবর আলী, জাহাঙ্গীর মোল্লা,রেজাউর রহমান ফাহিম,আবুল হোসেন আব্দুল, আশরাফুজাহান জাহান,হাফিজুল হাসান শুভ্র,শামীম পারভেজ,সালাম সরকার, মাহাবুবুল হক ভূঁইয়া শাহিন,সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা,নাসির উদ্দিন,নুরুল হুদা ভূঁইয়া,মোতালেব হোসেন রতন,রফিকুল ইসলাম খান,এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল (সহ-দপ্তর),জাহেদ পারভেজ চৌধুরী,তাসলিমা রিতা, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব মহসীন সিদ্দিকী রনী, রুপনগর থানা বিএনপি আহবায়ক জহিরুল হক,যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিঃ মজিবুল হক,আলী আহমেদ রাজু,শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব,পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি হাজী নূর সালাম, বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মোঃ নজরুল ইসলাম, রুপনগর আবাসিক কল্যান সমিতির সভাপতি মোঃ শাহ আলম মোল্লা,স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে খালেকুজ্জামান জুয়েল,মোঃ শহিদ উল্লাহ, এস এম বোরহান উদ্দিন, মোস্তফা কামাল খোশনবীস,তাবলীগ এর আমীর নূরুল আমিন, মাওলানা মাওলানা আবদুল বাতেন, মাওলানা নাসির উল্লাহ, মাওলানা আবুল কালাম,আতাউর রহমান,মোঃ সায়েম। এছাড়াও গুমের শিকার পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর আলম,তরিকুল ইসলাম তারা ও বৈষম্য আন্দোলনে শহীদ শাকিল,লিটন হাসান,মকবুল হোসেন,জাহিদুল ইসলাম রাসেল,আসিব ইকবাল,আনোয়ার হোসেন এর পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শায়খুল হাদীস মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী।