মো. ইলিয়াস সানি, তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার জনপ্রিয় যুবনেতা ও সমাজসেবক হাসান সাপা পিন্টুর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে সম্প্রতি সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন তিনি, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসান সাপা পিন্টু বলেন, “গত ৭ই এপ্রিল তজুমদ্দিনে আমাদেরই একজন কর্মীবান্ধব যুবদল কর্মী সেলিম পন্ডিতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়, যার কারণে সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।পরবর্তীতে কিছু কুচক্রী মহল সেই ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আমার বিরুদ্ধে অপবাদ রটায়। তবে আমি দলীয় নির্দেশে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থিত হয়ে সমস্ত প্রমাণ ও তথ্য উপস্থাপন করে আমার নির্দোষিতা প্রমাণ করেছি। এখন আমি পুনরায় আমার দায়িত্বে ফিরে এসেছি এবং আগের মতোই সক্রিয়ভাবে দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “দলই আমার প্রথম পরিচয়। আমি সব সময় দলের আদর্শের প্রতি অনুগত ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব। আমাদের উচিত দলের ভেতরে ও বাইরে যে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আমার আহ্বান, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে শক্তিশালী করে তুলি।”
তার বিরুদ্ধে অপ্রচার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক খোব সৃষ্টি।এই অপপ্রচার রুখে দিতে তজুমদ্দিনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে নেতাকর্মীরা তার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন।দলীয় কর্মসূচিতেও তাকে ঘিরে নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, হাসান সাপা পিন্টুর মতো ত্যাগী, উদ্যমী ও জনপ্রিয় নেতার উত্থান একটি পরাজিত গোষ্ঠীর জন্য চরম অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তার জনপ্রিয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে তারা।
তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তজুমদ্দিনে দলীয় ঐক্য ও সংহতির যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইঙ্গিত দেয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।