কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিএনপি’র একাদিক নেতার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক চাঁদাবাজি মালা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝালকাঠি জেলা কৃষক দলের যগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, উপজেলা শৌলজালিয়া ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী গ্রামের মিঠু বেপারী ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে ইতোপূর্বে ৩ জন মুসলিম নারীকে বিবাহ করেছেন। তিনি হিন্দু ধর্ম গোপন রেখে মুসলিম সেজে ইসলাম ধর্মের এ নারীদের বিবাহ করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে কিছুদিন পরে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের তারিয়ে দেন। ইতপূর্বে কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া গ্রামের কাজল নামে এক নারীকে ও ঢাকার এক গার্মেন্টস শ্রমিককে বিবাহ করেন। মিঠু ব্যাপারী সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পূর্ব মেড্ডা (শান্তিবাগ) এলাকার মোঃ ইউনুস মিয়ার মেয়ে তাসলিমা বেগমকে নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে বিবাহ করেন। গত ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ মিঠু ও তার পিতা বিজয় ব্যাপারী তাছলিামাকে ধর্মন্তারিত হওয়ার জন্য মারধর করেন এবং বাড়ী থেকে তারিয়ে দেন। মিঠুর বাড়ী সংলগ্ন বিনাপানী বাজারের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা গ্রাম্য শালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে উভয়ের সম্মতিতে তাছলিমাকে নিজ ধর্মে ফেরার সিদ্ধান্ত দেন। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠু বেপারী বাদী হয়ে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিএনপি’র এ নেতাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। মিঠুর বিরুদ্ধে ঢাকা একাধিকবার মাদক মামলা রয়েছে। এ মামলা সে দীর্ঘদিন হাজত বাস করেছেন।
উল্লেখ্য যে, মামলায় ঝালকাঠি জেলা কৃষক দলের যগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন যুব দলের সাবেক সভাপতি মোঃ সেলিম সরদার, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এমদাদুল সিকদার, উপজেলা তাতি দলের সাধারণ সম্পাদক শিশির হাওলাদার, ৪৯ নং বিনাপানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী মোঃ মইনুল হাওলাদার, নেয়ামতি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক অসীম হাওলাদার, ব্যবসায়ী বাবুল শরিফ ও ওয়াদুদ মুন্সীর নামে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও নিজ ধর্মপরিচয় গোপন রেখে একাধিক মুসলিম নারীকে বিবাহকারী মিঠু ব্যাপারী হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে সকল আসামী জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি’র নেতারা মাদক ব্যবসায়ী প্রতারক মিঠুর ব্যাপারীর মিথ্যা মামলার অব্যহতি পাওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহীনি ও আইন উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়েছেন।