Thakurgaon Correspondent:
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের নামে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)’র বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে ২৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। যারা টাকা দিয়েছে তারাই কেবল ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, অন্যরা অকৃতকার্য হয়েছেন।
টিটিসির ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রশিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পোস্টে তিনি জানান, বিআরটিএর দালাল হিসেবে পরিচিত খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক ফারুক হোসেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে অটোমোটিভ ট্রেডের প্রধান প্রশিক্ষক সাদেকুল ইসলামও এ ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।
এ ঘটনায় প্রতিবাদী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনকে শোকজ করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। তিনি অভিযোগ করেছেন, অনিয়ম প্রকাশ করায় তাকে হুমকি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থীরা জানিয়েছেন, যারা ঘুষ দেননি তারা পরীক্ষায় ফেল করেছেন। এ ছাড়া প্রতিদিনকার সরকারি ভাতা (১৫০ টাকা) ও বরাদ্দকৃত জ্বালানিও নিয়মিত দেওয়া হয় না। তাদের অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নেও ব্যাপক অনিয়ম চলছে।
তবে অভিযুক্ত প্রশিক্ষক ফারুক হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।”
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সামছুর রহমান বলেন, “প্রতিষ্ঠানের কেউ কারো কাছ থেকে টাকা নেয়নি। যিনি অভিযোগ করেছেন তাকে শোকজ করা হয়েছে। প্রমাণ না পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজমির শরিফ মারজী বলেন, “৭০ জন প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”