কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য মো. রিয়াদ মিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চিলমারীতে সংগঠনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ৩০০ ভিজিএফ কার্ড দাবি করার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য সচিব মো. ফয়সাল আহমেদ সাগর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ চিলমারী উপজেলার ৩ নম্বর থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ড সংক্রান্ত আলোচনা চলছিল। এ সময় মো. রিয়াদ মিয়া নিজেকে চিলমারীর সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে সভাকক্ষে প্রবেশ করেন এবং ৩০০ কার্ড দাবি করেন। এতে প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। পরে, গত ১৮ মার্চ মো. রিয়াদ মিয়াকে জেলা কমিটির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান সাইয়েদুর রহমান বলেন, “রিয়াদ নামে এক ছাত্রনেতা ৩০০ ভিজিএফ কার্ড দাবি করেছিলেন, যা অনৈতিক।”
তবে বহিষ্কৃত মো. রিয়াদ মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত। বহিষ্কারের বিষয়ে আহ্বায়ক কিছুই জানেন না, শুধু সদস্য সচিব স্বাক্ষর করেছেন। আমাকে হেয় করা হয়েছে।”
এদিকে, চিলমারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান শান্ত বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সঠিকভাবে তদন্ত করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হতো।” তিনি বহিষ্কারের ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য সচিব মো. ফয়সাল আহমেদ সাগর বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো ধরনের অনিয়ম, চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজিকে প্রশ্রয় দেয় না। কেউ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করলে, তার দায় সংগঠন নেবে না। রিয়াদকে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে।”