শ্রীমঙ্গলের গান্ধীছড়া গ্রামে এক ছোট্ট মেয়ের সাহসিকতার গল্প ছড়িয়ে পড়েছে, যার কারণে বদলে গেছে পুরো গ্রামের পরিস্থিতি। পূজা, যে একজন চা শ্রমিকের মেয়ে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কন্যা, সে তার প্রয়োজনে ও ইচ্ছাশক্তিতে নিজের এবং গ্রামের অনেক মানুষের জীবনে এক আশ্চর্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রামের অনেক শিক্ষার্থীর মতো পূজারও বড় সমস্যাটি ছিল স্কুলে যাওয়ার খরচ। ৮ মাইল দূরত্বের স্কুলে প্রতিদিন যাওয়া-আসা তার পরিবারের জন্য একটি বড় চাপ ছিল। কিন্তু পূজা তার হতাশা কখনোই গ্রাস করতে দেননি। একদিন তার ৪ বান্ধবী মিলে কিছু টাকা জমানোর পর এক স্মার্টফোন কিনে ফেলে। আর তারপর থেকে শুরু হয় তার অনলাইন শিক্ষা যাত্রা। এখন, ৮ মাইল দূরত্বের স্কুল তার হাতে থাকা ৪ ইঞ্চি স্ক্রিনে এসে পৌঁছেছে।
এই একটানা পরিশ্রমী মেয়েটি শুধু নিজের জীবনই বদলে দেয়নি, গ্রামেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পূজা এখন গ্রামবাসীকে শেখাচ্ছে কিভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জীবন আরও সহজ এবং উন্নত করা যায়, বিশেষত নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কীভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যায়। আজ, তার বাবা দোকানে বসে থাকে, কিন্তু গ্রামবাসী এখন তাকে খুঁজতে আসে না, বরং তাদের প্রথম প্রশ্ন থাকে – “পূজার খোঁজ পাই?”
পূজার হাতে ফোন আসতেই, গ্রামটির মানুষদের জীবনে এক নতুন সূর্যোদয় হয়েছে। ভাবুন, যদি দেশের সব মেয়েদের হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যায়, তাহলে কতটা সম্ভাবনা খুলে যাবে আমাদের সমাজে?