ছেলেটির নাম রাশিদ, বয়স মাত্র ২৪। পেশায় রাজমিস্ত্রি—কিন্তু মনটা যেন সোনা দিয়ে গড়া। জীবন যখন শুধু নিজের স্বপ্ন নিয়ে ভাবার, তখন একদিন স্থানীয় এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তার পরিচয় হয় রুবিনার সঙ্গে।
রুবিনা একজন কন্যাসন্তানের মা। কয়েক মাস আগে এক দুর্ঘটনায় তার স্বামী মারা গিয়েছেন। সমাজের চোখে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘বোঝা’, কিন্তু রাশিদের চোখে ছিলেন এক সংগ্রামী নারী—এক পরিপূর্ণ মানুষ।
প্রথম দেখাতেই রাশিদ বুঝে ফেলেছিল—এই নারীর জীবনে সে নতুন আলো দিতে চায়। পরিবারের আপত্তি ছিল, প্রতিবেশীদের কটাক্ষও সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু ভালোবাসা থামে না—রাশিদ থামেনি।
সে বলেছিল, “ভালোবাসা শুধু সৌন্দর্য নয়—এটা দায়িত্ব, সম্মান, আর ভবিষ্যতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি।”
সব বাধা পেরিয়ে বিয়ে হলো। রুবিনা তার ছোট্ট কন্যাকে সঙ্গে নিয়েই নতুন জীবনে পা রাখলেন। রাশিদও শিশুটিকে নিজের সন্তানের মতো বুকে টেনে নিল।
সেই বিয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। হাজারো মানুষ হৃদয়ে স্থান দেন এই জুটিকে। সবাই এক বাক্যে বলে উঠল—
“এই ছবি শুধু বিয়ের নয়, এটি মানবতার প্রতিচ্ছবি।”