গুম ও খুনের অভিযোগে পলাতক থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জব্দকৃত সম্পদ গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা বিপুল সম্পদের সঙ্গে কেনার নথির অমিল এবং প্রতারণার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজীপুরের ফাওকা এলাকায় তারিক সিদ্দিকের সুরক্ষিত বাগানবাড়িতে রয়েছে ডুপ্লেক্স ভবন, বিশাল পুকুর ও গাছপালা। ওই এলাকায় অন্তত ২২ বিঘা জমি দখলে থাকলেও ক্রয় নথিতে মাত্র ৫ বিঘা উল্লেখ রয়েছে।
আরও জানা গেছে, গাজীপুর সদরের বাঙ্গালগাছায় তার ভাই রফিক সিদ্দিকীর নামে থাকা আরেকটি বাগানবাড়ির প্রকৃত আয়তন নথিভুক্ত জমির (৭৮ শতাংশ) তুলনায় ১০ গুণ বেশি।
কানাইয়া ভূমি অফিসের তথ্যমতে, ‘টিউলিপস টেরিটরি’ নামে পরিচিত একটি ২ একর ৬৩ শতাংশ জমির মালিক তার আরেক ভাই শফিক আহমেদ সিদ্দিক। এলাকাবাসীর কাছে এটি ‘শেখ রেহানার বাড়ি’ হিসেবেও পরিচিত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নথিতে উল্লেখ রয়েছে, গাজীপুরে তারিক সিদ্দিকীর দুটি বাগানবাড়ি, ঢাকার গুলশানে একটি সাততলা বাড়ি, বসুন্ধরায় তিনটি প্লট, বারিধারায় চারটি ফ্ল্যাট ও একটি ফ্ল্যাটের আংশিক মালিকানা এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৪৮ বিঘা জমি রয়েছে তার এবং তার স্ত্রীর নামে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর তারিক সিদ্দিকীর গাজীপুরের কিছু জমি গোপনে বিক্রি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “কোনো সরকারি চাকরিজীবীর নামে এত সম্পদ থাকাটা সন্দেহজনক। জব্দ সম্পদ বিক্রির অভিযোগ দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে তদন্ত করা উচিত।”