মাগুরায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুটির শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মাগুরায় শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। আজ আরো দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। দ্বিতীয়বার প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর রিভার্স করেছে। ব্রেন ফাংশন করছে না, জিসিএস (কোমা) লেভেল ৩। রক্ত চাপ ও অক্সিজেন লেভেল অনেক কম।
এর আগে বুধবার রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে শিশুটির স্বাস্থ্যের অবনতির কথা জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়েছে, মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকায় শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদানুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুটি আজ চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে এবং সিপিআর প্রদানের মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরো নিম্নমুখী।
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া ৮ বছরের এই শিশুকে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।