Staff Correspondent:
সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে গত দুই দিন ধরে ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, উপকূলীয় এলাকা ও আরও অনেক জেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি দেশের অন্তত ৫০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
ঝড়ের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ) আব্দুর রহিম মল্লিক শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় জানান, ঝড়-বৃষ্টির কারণে অন্তত ৫০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করা হয়েছে। যেসব মোবাইল ফোন টাওয়ার বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ ছিল, সেগুলোরও বড় একটি অংশ চালু করা হয়েছে। তবে কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকায় এখনও কাজ চলছে।
এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি প্রধান মোবাইল অপারেটরের প্রায় ১৩ হাজার টাওয়ার অচল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৪,৪৭৪টি, বাংলালিংকের ৩,০২০টি এবং রবির ৫,৫০০টি টাওয়ার ছিল। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে এসব টাওয়ারের প্রায় ৮০ শতাংশ পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় জানান, সারা দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নিরলসভাবে নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি জানান, দুর্যোগের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরিশাল, দক্ষিণ সিলেট, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা উত্তর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম। এসব এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোন সেবা আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে।