রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন মেঘনা আলম। রোববার (২২ জুন) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে তিনি হাজির হয়ে নিজেকে ‘মডেল নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রশিক্ষক’ দাবি করেন এবং বলেন, তাকে গ্রেপ্তার নয় বরং অপহরণ করা হয়েছিল।
আদালতে উপস্থিত হয়ে মেঘনা বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই বাসায় হামলা চালিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এটি গ্রেপ্তার নয়, এটি অপহরণ।”
তার পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন আবেদন দাখিল করেন। বিচারক শুনানি শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে আটক দেখানো হয় এবং পরদিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ভাটারা ও ধানমন্ডি থানায় একাধিক প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ২৮ এপ্রিল আদালত তার আটকাদেশ বাতিল করে জামিনে মুক্তি দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ কয়েকজন একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন নারীকে ব্যবহার করে কূটনীতিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন।
সম্প্রতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়েও গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।