দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সরকার সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ১৪ মে থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত এ ক্ষমতা বলবৎ থাকবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারা—যাঁরা কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত, তাঁরাও—ফৌজদারি কার্যবিধির নির্ধারিত কিছু ধারার আওতায় অপরাধ আমলে নিতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
প্রযোজ্য ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা—যেগুলোর আওতায় জনশৃঙ্খলা রক্ষা, অবৈধ সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও বিভিন্ন অপরাধ দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সরকার প্রথমবারের মতো সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে এই বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়। এরপর থেকে দুই মাস পরপর এই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ সাময়িকভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হলেও দীর্ঘমেয়াদে এর রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক প্রভাব নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।