বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ১৬ বছরে পাচার হওয়া ৯৩ বিলিয়ন ডলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্মরণে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই অর্থ যদি দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, তা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শের-ই-বাংলার নামে ছয় লেনের রাস্তা নির্মাণসহ বরিশালের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বরিশাল বিভাগ সমিতির আয়োজিত শের-ই-বাংলার ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় তিনি এই প্রস্তাব রাখেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ৯৩ বিলিয়ন ডলার লুটপাট করে বিদেশে পাচার হয়েছে, যা প্রায় ১৬ বছরের বাংলাদেশের বাজেটের সমান। এই অর্থ বিদেশে পাচার হওয়া দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার উদাহরণ। তিনি শের-ই-বাংলার আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এমন দুর্নীতি ও পাচারের বিপরীতে শের-ই-বাংলার মতো নেতা দরকার, যারা দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করবেন।
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেন, শের-ই-বাংলা শুধু বাংলার নেতা ছিলেন না, তিনি উপমহাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন, যিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সামাজিক সংস্কারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ডা. মোশতাক হোসেন আরও বলেন, শের-ই-বাংলা ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং দেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।
বরিশাল বিভাগ সমিতির সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু শের-ই-বাংলাকে বাংলাদেশের শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মহানায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করে পদ্মা সেতুকে তার নামে নামকরণের দাবি জানান। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল বলেন, শের-ই-বাংলার মূল লক্ষ্য ছিল শোষিত কৃষক শ্রেণীর পাশে দাঁড়ানো এবং জমিদারদের অত্যাচারে জর্জরিত কৃষকদের মুক্তির জন্য ঋণসালিশি বোর্ড গঠন করা।
বক্তারা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শের-ই-বাংলার আদর্শকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।