প্রধান উপদেষ্টা ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সম্প্রতি নগদ সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও জনগণের কোনো অর্থ চুরি করবেন না এবং তার উপর জনগণের আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক সততায় তার দৃঢ় বিশ্বাস ও অভ্যস্ততার কথা উল্লেখ করে তৈয়্যব বলেছেন, তার ব্যক্তিগত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আসায় তিনি তৎক্ষণাৎ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
তৈয়্যব সাবেক সরকারের নগদ প্রশাসনকে কেন্দ্র করে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান, সাবেক কিছু ব্যক্তিরা ভুয়া ই-কেওয়াসি ব্যবহার, অবৈধ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছে এবং এসব দোষ আরোপ করা হচ্ছে বর্তমান প্রশাসনের ওপর, যা তিনি অনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও অভিহিত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ট্রান্সক্যাশ সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টে ৬৪৫ কোটি টাকার অবৈধ ইলেকট্রনিক মানি তৈরি হয়েছে এবং বিষয়টি তিনি গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করেছেন।
তৈয়্যব একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকে মিথ্যা অপবাদ ও বিভীষিকাময় দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেন, তার বক্তব্য নেওয়ার সুযোগ পত্রিকাটি নেয়নি, যদিও তিনি মানবজমিনের একজন কলাম লেখক। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অংশ পরিকল্পিতভাবে ১৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ছড়িয়েছে, যেখানে প্রকৃত ব্যয় মাত্র ৪৩ কোটি টাকা।
নগদ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে ফরেনসিক নিরীক্ষার কাজ কেপিএমজিকে দিয়েছে, তার নিরপেক্ষতা নিয়ে তৈয়্যবের প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেছিলেন ডিজিটাল ফরেনসিক কাজ সিসিএ বা সিআইডির ল্যাব ব্যবহার করলেই সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
তৈয়্যব নগদের সুরক্ষায় সতর্ক করে বলেছেন, এটি ৯ কোটির বেশি মানুষের সঙ্গে যুক্ত এবং ধ্বংস হলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই সঙ্গে এর প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো এক ধরনের মাফিয়া মনোপলি হয়ে সেবার মূল্য বৃদ্ধি পাবে। তিনি দেশে ডিজিটাল লেনদেন ও ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য বিএফআইইউ, বিটিআরসি ও ডাক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বিত কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।