সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ঢাকা ব্যাংকের আয়ে। ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় ব্যাংকটির সুদ আয় বেড়েছে প্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা, যা ৩১ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি। একইসঙ্গে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ থেকেও ব্যাংকের আয় বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।
সম্প্রতি পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যেখানে ব্যাংকটির ঋণের সুদ আয় ছিল ২,১০৯ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৪ সালের শেষে তা দাঁড়ায় ২,৭৭৩ কোটি টাকায়। অপরদিকে ট্রেজারি বিল ও বন্ড থেকে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১৫ কোটি টাকায়, যা আগের বছর ছিল ৪২৩ কোটি।
তবে শুধু আয় বাড়েনি, আমানতের বিপরীতে সুদ খরচও বেড়েছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি আমানতের পেছনে সুদ দিয়েছে ২,০৫৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৬১৬ কোটি বা ৪৩ শতাংশ বেশি।
এই বাড়তি আয়ের ফলে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা এক বছরে ২৫৯ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৬৯ কোটি টাকায়। যদিও চূড়ান্ত মুনাফা কমে গেছে, যার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশনিং ও কর ব্যয়। বছর শেষে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১২৮ কোটি টাকায়, যেখানে আগের বছর ছিল ১৬৭ কোটি।
প্রভিশনিং খাতে ব্যাংকটি ব্যয় করেছে ৭২৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ৪০৩ কোটি টাকার তুলনায় ৩২৩ কোটি টাকা বেশি।
মুনাফা কমলেও ব্যাংকটি শেয়ারধারীদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে—এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস। আগের বছর ব্যাংকটি দিয়েছিল ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।
বর্তমানে ঢাকা ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ারের বাজারদর ১০ টাকা ২০ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিনই (বৃহস্পতিবার) শেয়ারটির দাম ৪ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।