সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেছেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি কোনো অপরাধ করেননি। বুধবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, “আমি নির্দোষ। আমি কোনো অপরাধ করিনি।” আদালতের এজলাসে নেওয়ার সময় পলক ছিলেন পুলিশের কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীতে। তার পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ও মাথায় হেলমেট, হাতেও ছিল হাতকড়া।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় কারাগারে তার সময় কিভাবে কাটছে তাও জানান পলক। বলেন, “আমি নিয়মিত বই পড়ি। কারাগারে সময়টা পড়াশোনার মাধ্যমে কাজে লাগাচ্ছি।” এদিন সকালে তাকে আদালতে তোলা হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামের সঙ্গে। সবাইকেই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আদালতে তোলার সময় সবাই ছিলেন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। একে একে আদালতের এজলাসে নেওয়া হয় তাদের। এসময় হাসানুল হক ইনুর মুখে দেখা যায় হাসি, আর কামাল আহমেদ মজুমদার ছিলেন পুরোপুরি বিমর্ষ। এ বি তাজুল ইসলাম ছিলেন নিরুত্তাপ, পলকের মুখেও ছিল স্থিরতা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে শুনানি শেষে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পুরো সময়জুড়ে আদালত চত্বর ছিল উত্তপ্ত, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের ভিড়ে টান টান উত্তেজনা তৈরি হয়। সাবেক মন্ত্রীদের এমন দৃশ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
এখন আদালতের পরবর্তী শুনানিই নির্ধারণ করবে তাদের ভাগ্য। তবে পলক তার নির্দোষিতার দাবি বারবার উচ্চারণ করছেন, যা এই মামলার প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।