২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এই চিঠিটি রোববার (২০ জুলাই) পাঠানো হয়। এতে সংশ্লিষ্ট তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া মামলার (মামলা নম্বর-১১) সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এসব তথ্য চেয়েছে। কর্মকর্তাদের নাম, পিতামাতা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে), মোবাইল নম্বর ও কোন কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন সে সম্পর্কিত তথ্য ভোটকেন্দ্রভিত্তিক পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ২২ জুন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন খান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ করা হয়, এই তিনটি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে “প্রহসনের নির্বাচন” পরিচালনা করা হয়েছে।
মামলার পর পিবিআই তদন্ত শুরু করলে নির্বাচন কমিশন এই তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সরকার এক আদেশে বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী ২২ জন জেলা প্রশাসককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।