মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর);
যশোর জেলায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই নতুন করে ৭ জনের শরীরে এই মরণব্যাধির ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক গর্ভবতী নারী, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি নতুন এবং জটিল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আগামীকাল (১ জুন) এক এইচআইভি পজিটিভ গর্ভবতী নারীর সিজারিয়ান অপারেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। এই সিজারকে ঘিরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি.
দ্বিতীয়বার গর্ভবতী, আবারও সিজারের জন্য প্রস্তুতি
জানা গেছে, এর আগে প্রায় দুই বছর আগে এই হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক এইচআইভি আক্রান্ত নারীর সফল সিজার সম্পন্ন হয়। ওই রোগী বর্তমানে দ্বিতীয়বার গর্ভবতী, এবং আবারও হাসপাতালে যোগাযোগ করেছেন সিজারের জন্য।
অপারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জিইয়াসমিনের তত্ত্বাবধানে অপারেশনটি পরিচালিত হবে। এর আগে সাফল্যের সঙ্গে সিজার করা ডা. নিলুফার ইয়াসমিন Said,
“ভাইরাস ২৪ ঘণ্টার বেশি সক্রিয় থাকে না। সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত অপারেশন থিয়েটারে ও প্রয়োজনীয় সতর্কতায় ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।”
He also said,
“আমাদের কাজই হলো মানুষকে সেবা দেওয়া। আমরা আশাবাদী, আল্লাহর রহমতে এই সিজারটিও সফলভাবে সম্পন্ন হবে।”
হাসপাতালে এআরটি সেন্টার চালু
এইচআইভি/এইডস রোগীদের জন্য সরকারিভাবে চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা দিতে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রয়েছে এআরটি (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি) সেন্টার। এখান থেকে রোগীরা ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা পেয়ে থাকেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত Said,
“চলতি বছরেই ৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ায় যশোর বর্তমানে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় পরিণত হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
স্বাস্থ্য বিভাগের সতর্কতা
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা Said,
“এইচআইভি পজিটিভ গর্ভবতীর সিজারের মতো জটিল অপারেশনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকা জরুরি। যেকোনো জটিলতা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতে হবে।”