২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ও প্রাণরক্ষায় মোট ৬২৬ জনকে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, আশ্রয়প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারসহ আরও ৬৩ জন। সেনাবাহিনী জানায়, তৎকালীন সহিংস ও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে মানবিক বিবেচনায় এই আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আশ্রয়প্রাপ্তদের অধিকাংশই ১-২ দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। ৫ জনকে আইনি অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং সংশ্লিষ্ট তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা করছে, যা দুঃখজনক। এই পরিস্থিতিতে সংস্থাটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে এবং জনগণকে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
তালিকাভুক্ত কিছু রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্তরা ছিলেন জুনায়েদ আহমেদ পলক (সাবেক আইসিটিমন্ত্রী), শিরীন শারমিন চৌধুরী (সাবেক স্পিকার), সামসুল হক টুকু (সাবেক ডেপুটি স্পিকার), কাজী নাবিল আহমেদ (সাবেক এমপি), তালুকদার আবদুল খালেক (সাবেক মেয়র, খুলনা সিটি), মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (সাবেক মেয়র, সিলেট সিটি), মো. আবু জাহির (তৎকালীন এমপি, হবিগঞ্জ-৩) আরও অনেকে।
সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।