Staff Correspondent:
বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ শুরু হয়েছে রাজধানীর নয়াপল্টনে। বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টার পর থেকেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হয় এ মহাসমাবেশ।
ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে প্রায় ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে আয়োজকরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য
সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন,
“নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে। অল্প সংস্কার, না বেশি সংস্কার—এই বিতর্ক রেখে লাভ নেই। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।”
He also said,
“এখন আর কথা বলার সময় নয়, বাস্তবায়নের সময়। তরুণদের শক্তিকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।”
জমায়েত ও পরিবেশ
বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন রূপ নেয় জনসমুদ্রে.
নেতাকর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন; কেউ কেউ নাচ-গান ও স্লোগানে সমাবেশ স্থলকে মুখর করে তোলেন।
নিরাপত্তা ও যান চলাচল
সমাবেশ কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় বাড়তি পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে উভয় পাশের সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
নেতাদের বক্তব্য
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ Said,
“আমরা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি, কারো পদত্যাগ চাইনি। কিন্তু নাটক করা হয়েছে পদত্যাগ নিয়ে।”
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী Said,
“নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতেই হবে।”
প্রেক্ষাপট ও লক্ষ্য
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—এই সমাবেশের উদ্দেশ্য হলো দেশের তরুণদের উৎকণ্ঠা, প্রত্যাশা ও অংশগ্রহণকে সামনে রেখে একটি ইতিবাচক বার্তা দেওয়া।
এটি ছিল চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ার পর ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত চতুর্থ তারুণ্যকেন্দ্রিক বৃহৎ কর্মসূচি।