ঢাকা, ১৬ মে:
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে ‘স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ (এনসিবি)-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা কাজী ছাব্বীর আহমেদ.
He said,
“মওলানা ভাসানী দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই স্বাধিকার আন্দোলনের বীজ রোপিত হয়েছিল, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়।”
He also said,
“১৯৩৪ সালে বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লাইন প্রথা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের ২১ দফা, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান—সবকিছুতেই মওলানা ভাসানী ছিলেন প্রেরণার উৎস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন তিনিই। অথচ ইতিহাস থেকে তার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে।”
কাজী ছাব্বীর সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে এসব তথ্য পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি মওলানা ভাসানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।”
ফারাক্কা লং মার্চ স্মরণসভা ও শোকসংবাদ
এই দাবি তিনি উত্থাপন করেন বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ’ স্মরণসভা ও আলোচনা সভায়, যা আয়োজন করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী)। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, এবং সঞ্চালনা করেন কবি সানজিদা রসুল.
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, মানবতার দেয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ আবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক মুনসুর রহমান O টিমুনি খান Others.
সভাপতির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা Said,
“মওলানা ভাসানী ছিলেন গণতন্ত্র, প্রগতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মহান নেতা। তাঁর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের সকলের।”
দুঃখজনক মৃত্যু সংবাদ
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কৃষক শ্রমিক পার্টির চেয়ারম্যান সিরাজুল হক উদ্বোধনী বক্তব্য দেয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার মৃত্যুতে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) গভীর শোক প্রকাশ করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।