বাংলাদেশ হাইকোর্ট ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর নেতা মাইকেল চাকমার পাসপোর্ট চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আদালত পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগকে সাত দিনের মধ্যে মাইকেল চাকমার পাসপোর্টের আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে, আদালত মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট না দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মাইকেল চাকমার পক্ষে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান এবং মনিরা হক শুনানি করেন, এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান শুনানি প্রদান করেন।
মাইকেল চাকমা ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নিখোঁজ হন এবং তার পরিবার এবং ইউপিডিএফ জানায় যে, তিনি ওই দিন রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক গুমের শিকার হন। মাইকেল চাকমা দীর্ঘ দিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিসত্তার জনগণের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
এছাড়া, ইউপিডিএফের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট মাইকেল চাকমা ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পান।
এমন পরিস্থিতিতে, আদালত সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, মাইকেল চাকমার পাসপোর্ট দেয়া না হওয়ার কারণ কী হতে পারে, এবং এটি বেআইনি হতে পারে কি না।