চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাবেক এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গণঅভ্যুত্থানের পর সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা এবং মন্ত্রীরা, যেমন বিপ্লব বড়ুয়া এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দেশ ছেড়ে পালাতে এই কর্মকর্তার সাহায্য নিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তাদের পালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শাহ আমানত বিমানবন্দরে সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাদের দেশত্যাগে সহযোগিতার অভিযোগ”
গণঅভ্যুত্থানের পর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া সহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অন্তত দুই ডজন নেতাকে দেশ ছেড়ে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাবেক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এই সহযোগিতার বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, এবং দুদক এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে।
এছাড়াও, শাহ আমানত বিমানবন্দরের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তায়, সাবেক এই কর্মকর্তার মাধ্যমে আরো অনেক নেতাকেও বিদেশে পালানোর সুযোগ দেওয়া হয়। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সাবেক মন্ত্রী ও নেতাদের পালাতে সহায়তা করার পর, একাধিক কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা কর্মীকে বিদায় দেওয়া হয়েছে, আর বিমানবন্দর এলাকায় অনেক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে বিমানবন্দরের প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তাদের দাবি, সাবেক এই কর্মকর্তা ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়াও, উক্ত সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে বিজ্ঞাপন সংস্থাকে অনুমতি দেওয়া এবং বিমানবন্দর টার্মিনালের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাৎ করার ব্যাপারে।
দেশ রূপান্তর রিপোর্ট অনুযায়ী, দুদকের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে, আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।