নববর্ষকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের জন্য থাকছে ব্যতিক্রমী আয়োজন। বৈশাখের উৎসব থেকে যেন কারাবন্দীরাও বঞ্চিত না থাকেন, সে চিন্তা থেকেই এমন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা সূত্রে জানা গেছে, পহেলা বৈশাখের সকাল শুরু হবে পান্তা ভাত ও ইলিশ ভাজা দিয়ে। দুপুরের খাবারে থাকবে পোলাওয়ের সঙ্গে গরু বা খাসির মাংস। রাতের মেন্যুতে রাখা হয়েছে ভাত, সঙ্গে আলুর দম বা ছোলার ডাল। বর্ষবরণের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে দুপুরের পর কারাগারের ভেতরেই আয়োজন করা হবে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে অংশ নেবেন কারাবন্দীরাই।
সাধারণত কারাবন্দীদের দৈনন্দিন খাবারে থাকে রুটি, ডিম ও হালুয়া (সকালে), ডাল-ভাত-সবজি (দুপুরে) এবং মাছ বা মাংসসহ ডাল-ভাত (রাতে)। তবে পহেলা বৈশাখে থাকবে এই বিশেষ খাবারের ব্যতিক্রম আয়োজন।
জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানিয়েছেন, “বর্তমানে আমাদের কারাগারে ৮ হাজার ১১৭ জন বন্দী রয়েছেন। বৈশাখ উপলক্ষে দিনটি উদযাপনে আমরা সবাইকে একযোগে বিশেষ খাবার সরবরাহ করব। ডিভিশনপ্রাপ্ত ও ভিআইপি বন্দীরাও এদিন একই ধরনের খাবার পাবেন। সেই সঙ্গে আয়োজন করা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।”
বন্দিদের মুখে হাসি ফোটাতে এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়, যা বন্দীজীবনের একঘেয়েমির ভেতরেও এনে দেয় একদিনের প্রাণের ছোঁয়া।