ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব ও নিকাব পরা ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে নারী শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মাধ্যমে এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনে নারী সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতা নেওয়া হবে। এছাড়া, বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, আজ দুপুরে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার তামান্না তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। সেখানে তিনি জানান, আজ পরীক্ষার সময় কর্তব্যরত এক শিক্ষক তাকে হাজিরা খাতায় সই করার সময় মুখ দেখানোর জন্য বলেন। তিনি মুখ দেখাতে রাজি না হলে, পরে অন্য একজন শিক্ষিকা তার সই নেন। তাহমিনা এই সমস্যার সমাধানের জন্য দ্রুত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর দাবি জানান।
এছাড়া, তাহমিনা তার দাবির মধ্যে উল্লেখ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষায় ছাত্রদের মুখ দেখে শনাক্ত না করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে হবে।” এর পাশাপাশি, নারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় এবং ভাইভায় নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে শনাক্তকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পূর্ববর্তী নিপীড়নের ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।