দিনের শুরুতে বাংলাদেশের ইনিংস দাঁড়িয়ে ছিল ৪ উইকেটে ১৯৪ রান। তবে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেড় ঘণ্টা দেরিতে, সকাল ১১টায় খেলা শুরু হয়। খেলা শুরুর পরপরই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের দিন ৬০ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত এদিন কোনো রান না করেই ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন ভিক্টর নুয়াইসিকে।
এরপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৬ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্র ১৫ বলে ১১ রান করে তিনি মুজারাবানির শিকার হন, এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন। এই উইকেটটি ছিল মুজারাবানির টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির কীর্তি।
পরবর্তী ওভারেই ফেরেন তাইজুল ইসলাম। মাত্র ১ রান করে তিনিও আউট হলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২১৩। একপর্যায়ে ইনিংস ধসে পড়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তবে এই কঠিন সময়ে কিছুটা স্থিরতা এনে দেন জাকের আলী অনিক ও হাসান মাহমুদ। অষ্টম উইকেটে এই জুটি ৩১ রান যোগ করেন। লড়াকু ইনিংস খেলেন জাকের আলী, ১১১ বলে ৫৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস উপহার দেন তিনি।
তবে ইনিংস টেনে নেওয়ার প্রচেষ্টা বেশিক্ষণ টেকেনি। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার এক ওভারেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের টAIL-এন্ড। বাজে শট খেলে হাসান মাহমুদ (১৬) ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, পরের বলেই খালেদ আহমেদও আউট হয়ে যান। এরপর জাকেরের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৭৯.২ ওভারে ২৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল মাত্র ১৯১ রান, জিম্বাবুয়ে করেছিল ২৭৩। ফলে ৮২ রানের লিড নেয় সফরকারীরা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রান হওয়ায় জিম্বাবুয়ের সামনে এখন ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৭৪ রান।