ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির সরাসরি প্রভাব পড়েছে দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেট লিগে। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। একইসঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিকট একটি ভারতীয় ড্রোন ভেঙে পড়ার পরপরই নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে সন্ধ্যায় স্থগিত করা হয় সেদিনের নির্ধারিত ম্যাচ—করাচি কিংস বনাম পেশোয়ার জালমি। ঘটনার পরপরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জরুরি বৈঠকে বসে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে। মধ্যরাতেই পিএসএল পাকিস্তান থেকে সরিয়ে আরব আমিরাতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। পিসিবির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, টুর্নামেন্টের ফাইনালসহ বাকি থাকা আটটি ম্যাচের নতুন সূচি শিগগিরই জানানো হবে।
অন্যদিকে, একই যুদ্ধ পরিস্থিতির ছায়া পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেটেও। আইপিএলের এবারের আসর সাময়িকভাবে নয়, সরাসরি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, “যখন দেশ যুদ্ধের মুখে, তখন ক্রিকেট আয়োজন অমানবিক দেখায়। এই সময় আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—দেশ সবার আগে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। ক্রিকেট কখনই দেশের ঊর্ধ্বে নয়।”
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক বন্দুকধারী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি ও ড্রোন হামলার অভিযোগ। ইতোমধ্যেই প্রাণহানি ছাড়িয়েছে চার ডজনের বেশি।
ক্রিকেট শুধু খেলা নয়, উপমহাদেশে এটি আবেগের বিষয়। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধাবস্থায় সেই আবেগকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে বাস্তবতা ও নিরাপত্তার কঠোর প্রাধান্য।