৩৭তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতার প্রথম দিনেই নজরকাড়া পারফরম্যান্সে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন বিকেএসপির সাঁতারু মাইশা আক্তার মিম। বালিকা ১৫-১৭ বছর বিভাগে ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে হ্যান্ড টাইমিংয়ে ১ মিনিট ৭ দশমিক ৫৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি ভেঙেছেন আনসারের নাজমা খাতুনের ২০১২ সালের রেকর্ড (১:০৭.৬০)।
একদিনেই আরও দুটি ইভেন্টে সোনা জিতে আলো ছড়িয়েছেন মাইশা। তিনি ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে ও ৪০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে প্রথম হন।
প্রতিযোগিতার প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৪টি ইভেন্ট। সবচেয়ে বেশি পদক জিতে শীর্ষে আছে বিকেএসপি—তাদের অর্জন ১৭টি স্বর্ণ, ১৭টি রৌপ্য ও ৭টি ব্রোঞ্জ।
এছাড়া একটি করে স্বর্ণপদক জিতেছে শিলাইদাহ সুইমিং ক্লাব, বগুড়া সুইমিং ক্লাব, আলমগীর সুইমিং ক্লাব, ঝিনাইদহ সুইমিং ক্লাব, ডেফোডিল সুইমিং ক্লাব, রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বগুড়া সুইমিং সেন্টার।
মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ৮০টি টিম, যার মধ্যে রয়েছে বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব এবং বিকেএসপি। প্রায় ৫৫০ জন সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে।
প্রতিযোগিতায় মোট ১০৩টি ইভেন্ট রয়েছে—এর মধ্যে সাঁতারে ১০০টি এবং ডাইভিংয়ে ৩টি (১ মিটার স্প্রিং বোর্ড, ৩ মিটার স্প্রিং বোর্ড ও ৫ মিটার প্ল্যাটফর্ম)। বয়সভিত্তিক এই আয়োজন পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত: অনূর্ধ্ব-১০, ১১-১২, ১৩-১৪, ১৫-১৭ ও ১৮-২০ বছর।
পদকজয়ীদের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জের পাশাপাশি নগদ অর্থেও পুরস্কৃত করা হচ্ছে। স্বর্ণপদক বিজয়ীরা পাচ্ছেন ২ হাজার টাকা, রৌপ্য জয়ীরা ১ হাজার এবং ব্রোঞ্জজয়ীরা ৫০০ টাকা। জাতীয় রেকর্ড গড়লে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।