গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে হঠাৎ মাইনর পরে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ করে মাঠেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে। অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে, টানা ২২ মিনিট সিপিআর দিতে হয়েছে চিকিৎসকদের, পাশাপাশি দেওয়া হয় তিনটি ডিসি শক।
জরুরি ভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করে দেখা যায়, একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টারি সম্পূর্ণরূপে ব্লক। তাৎক্ষণিক রিং পরানো হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতির পর তামিমকে স্থানান্তর করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষে ২৮ মার্চ, চারদিন পর চিকিৎসকদের ছাড়পত্রে বাসায় ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ এপ্রিল তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে কয়েকদিন থাকার পর শনিবার সকালে (১২ এপ্রিল) তিনি ফিরে আসেন দেশে।
তবে দেশে ফিরে বিশ্রামে থাকার বদলে তামিম চলে আসেন প্রিয় মাঠ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে—বিশেষ করে যখন তার দল মোহামেডান মাঠে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর। বিকেল তিনটার দিকে মাঠে পা দিয়েই তিনি চলে যান প্রেসিডেন্ট বক্সে, এরপর নামেন ড্রেসিংরুমে—সতীর্থদের মাঝে সময় কাটাতে।
হৃদয়ের দুঃসময় পেরিয়ে মাঠে ফিরে আসা তামিমের এই দৃশ্য কেবল একজন খেলোয়াড় নয়, বরং একজন যোদ্ধার ফিরে আসার গল্প বলছে—যিনি মাঠে থেকেও দলকে সাহস ও প্রেরণা দিতে জানেন।