মোঃ রাহাদ আলী সরকার -মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি)
২০১৫ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৎস্য অধিদপ্তর “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হলেও ১০ বছর পরেও এটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতেও মানববন্ধন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
আজ (৫মে) বেলা ১২টা থেকে বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্মা ভবনের সামনে ফিশারিজ বিভাগের সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা জড় হতে থাকে।এসময় অংশগ্রহণকারিদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।এছাড়াও বিভাগটির শিক্ষকরাও মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্মা ভবন অতিক্রম করে মেঘনা ভবনের সামনে এসে থামে।
এসময় বিভাগটির এক শিক্ষার্থী বলেন,এই সার্কুলার আমাদের অধিকার।গত দশ বছরে এটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফিশারিজের দক্ষ গ্রাজুয়েটরা তাদের যোগ্য যায়গায় যেতে পারছে না।তাই এই সার্কুলার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির মেরিন ফিশারিজ বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল নাইমা বলেন,ফিশারিজে ক্যাডারের সংখ্যা অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় অনেক কম। যখন আমরা মাঠ পর্যায়ে যেমন ফিশারিজ কর্মকর্তা অথবা বিভিন্ন অ্যাকুয়াকালচার সাইটে যাই সেখানে দেখি কিছু কিছু জায়গায় রিক্রুটমেন্টের সুযোগ আছে। কিন্তু সেই জায়গা গুলো ব্লক হয়ে আছে যার ফলে টেকনিক্যাল ক্যাডারে বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে। যেহেতু অর্গানোগ্রামটি আগে থেকে অ্যাপ্রুভ করা আছে এজন্য সরকারের কাছে আবেদন থাকবে এ বিষয়ে যেন সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এর আগে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনের সার্বিক কার্যক্রম( ফুটেজ দিয়ে), ফিশারিজ সেক্টরের বর্তমান অবস্থা, গ্রাজুয়েটদের চাকরির অবস্থা এবং অর্গানোগ্রাম কেন দরকার এই বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করা হয় যাতে অংশ নেয় বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গত ২৮এপ্রিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনটি সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে একটি সেন্ট্রাল কমিটি গঠন করা হয়।